সৌম্য টেলিভিশনের একটি চ্যানেলে একটি অনুসন্ধানীমূলক অনুষ্ঠান দেখছিল। সেখানে উপস্থাপক বিভিন্ন ধরনের ভিক্ষুকদের সাথে কথা বলে তাদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেছিলেন। দেখা গেল প্রকৃত ভিক্ষুকের চেয়ে ছদ্মবেশী ও ব্যবসায়ী ভিক্ষুকের সংখ্যাই বেশি সৌম্য ইংল্যান্ডের একটি আইনের কথা শুনলো যা ভিক্ষুকদেরকে
কর্মীতে রূপান্তর করেছিল।
কৃষক পরিবারের সন্তান আমজাদ হোসেন লেখাপড়া শিখে ভালো চাকরি পেয়েছিলেন। তাই জীবনের তাগিদে গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন শহরে পরিবার নিয়ে থেকেছেন। আজ তার সন্তানরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে অবস্থান করছে। নিজেদের প্রয়োজনেও এখন সন্তানদের কাছে পান না। সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দূরত্ব বেড়েছে। একই সাথে এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কিছু পেশাদার পদ্ধতিও আবিষ্কৃত হয়েছে ।
রিফাত উচ্চ শিক্ষা শেষে এখন গবেষণায় মন দিতে চায়। সে তার গবেষণায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপনের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে চায়। তাই তাকে ঐ জাতিগোষ্ঠীর উৎপত্তি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্রমবিকাশ সম্পর্কে যেমন জ্ঞানার্জন করতে হচ্ছে তেমনি তাদের জন্মহার, মৃত্যুহার, স্থানান্তর, জনসংখ্যার কাঠামো ও বন্ধন সম্পর্কিত তথ্যও সংগ্রহ করতে হচ্ছে ।
জিহান একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকাকালে একটি পোস্ট দেখলো। সেখানে বেসরকারি কিছু পেশাজীবী সংগঠন তাদের অবসরকালীন নিরাপত্তা চেয়েছে। তারা বলেছেন, অবসরে গেলে তাদের জন্য পেনশন বা আর্থিক কোনো সুবিধা না থাকায় তারা অনেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করেন। সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তিত্ব তাদের এই চাওয়াকে যৌক্তিক মনে করেছেন।
নাসরিন সুলতানা একসময় বিদেশে ছিলেন। দেশে ফিরেছেন। ১০ বছর হলো। এলাকার জনগণের ভালবাসায় তিনি আজ ইউনিয়নের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু পরিবার ও বিভিন্ন মহল থেকে তিনি পুরোপুরি সমর্থন পাচ্ছেন না। অপরদিকে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত নারীদের দুরবস্থাও তাকে বিচলিত করে। তাই তিনি তাদেরকে নিয়ে কিছু উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা করেন।
পিন্টু ও হেলাল সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মাঠকর্মে নিয়োজিত আছে। তারা একটি সরকারি শিশু পরিবারের দায়িত্ব পেয়েছে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের সাথে আলাপকালে তারা জানতে পারল যে, তিনি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। শিশু পরিবারের মেট্রন কিছু সমস্যার কথা বললে তিনি তাকে অপারগতার জন্য বকাঝকা করেন । শিশুদের বিশৃঙ্খলাজনিত অপরাধের জন্য তিনি শাস্তির ব্যবস্থাও করলেন। পিন্টু ও হেলালের কাছে এগুলো অপ্রয়োজনীয় মনে হলো ।
রোকসানা আক্তার মেধাবী শিক্ষার্থী বলেই পরিচিত ছিলেন তার গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না বলে শিশুরা শিক্ষার সুযোগ পেত না। বিশেষ করে মেয়ে শিশুরা। কারণ মেয়েরা দূরে পড়তে গেলে পর্দা নষ্ট হবে। তাই রোকসানা নিজ বাড়ির সামনে একটি ছোট্ট ঘরে মেয়েদের শিক্ষাদানের কাজ শুরু করেন। আজ তার গ্রামের মেয়েরা শহরেও পড়তে যায়। তার সেই ছোট পাঠশালা আজ পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় । তিনি নিজেও ৯ ডিসেম্বর একটি পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন।